কোরআনের আয়াত লেখা শোপিস, ওয়ালম্যাট, ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা কি বৈধ?


কোরআনের আয়াত লেখা শোপিস, ওয়ালম্যাট, ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা কি বৈধ?

.

প্রশ্ন : কোরআনের আয়াত অঙ্কিত বিভিন্ন ধরনের শোপিস পাওয়া যায় বাজারে, যা অনেকেই বাড়িঘর ও অফিস-আদালতে ব্যবহার করেন। মসজিদের দেয়ালেও কোরআনের আয়াত অঙ্কিত টাইলস ব্যবহার করতে দেখা যায়। অনেকে ক্যালেন্ডারে কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করেন। কোরআনের আয়াতসংবলিত শোপিস, ওয়ালম্যাট ও ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা কি বৈধ? - নুশাইবা তাসনিম, আশুলিয়া, ঢাকা। 

উত্তর : কোরআন মহান আল্লাহর কালাম বা বাণী। এটি প্রদর্শনের বস্তু নয়। তাই শুধু প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কোরআন-হাদিস লিখিত বা ক্যালিগ্রাফি করা ওয়ালম্যাট বা শোপিস ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে কেউ যদি এ উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করে যে এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার কথা স্মরণ হবে, এতে লিখিত বাণীর হিদায়াত ও শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে, তাহলে শর্ত সাপেক্ষে তা করা যেতে পারে। সেই শর্তগুলো হলো—আয়াত ও হাদিসের মর্যাদার প্রতি খেয়াল রাখা, যেন তা নিচে পড়ে না যায় বা নাপাক কিছুর সঙ্গে স্পর্শ না হয়, আর ধুলাবালি থেকে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। কোরআন-হাদিস লিখিত ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রেও একই বিধান। কোরআন-হাদিসের মর্যাদার প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। বাতাসে যাতে ওড়াউড়ি না করে, সে ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন। তবে ক্যালেন্ডারে কোরআনের আয়াত বা হাদিস না লেখাই উত্তম। কারণ মানুষ এটি সেভাবে মর্যাদা দিয়ে ব্যবহার করে না এবং মাস ও বছর শেষে তা হেফাজত করে না; যেখানে-সেখানে তা ফেলে দেয়।

কোরআন-হাদিস লিখিত ক্যালেন্ডার দ্বারা কিতাব বা বই-পুস্তক বাঁধাই করা মাকরুহ। এটা কোরআন-হাদিসের মর্যাদার পরিপন্থী। এ ধরনের ক্যালেন্ডার প্রয়োজন শেষে হেফাজত করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে পুড়িয়ে ছাইগুলো কোনো পবিত্র স্থানে দাফন করে দেবে। (ফতোয়ায়ে খানিয়া : ৩/৪২৪; আল বাহরুর রায়েক : ২/৩৭; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ১৮/৬৭, ৬৯; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/১০৯, ৫/৩২২; দুররুল মুখতার : ৪/১৩০)

you want to know more news just follow my profile........

you want to know more news follow my profile........

 

 

Comments