শত শত বছর আগের এই শিল্পনিদর্শন ও নির্মাণশৈলী দর্শক মনে বিস্ময় জাগায়। এটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সংরক্ষিত একটি নিদর্শন। প্রত্নতত্ত্ববিদ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার মতে, হযরত মাওলানা মোয়াজ্জেম-উদ-দৌলা বা মোহাম্মদ দৌলা ওরফে শাহ দৌলা নামে পরিচিত দরবেশের সুদূর প্রসারী খ্যাতির কারণে বহু শিষ্য-সাগরেদের আগমন ঘটে। (বাঘের অভয়ারণ্যের কারণেই বোধ হয় এই স্থানের নাম ‘বাঘা’ হয়ে থাকবে।) এই স্থান আবাদের পর বাঘা নামে পরিচিত ঘটে। শাহ দৌলার ওফাতের পর জ্যেষ্ঠ পুত্র মাওলানা আব্দুল হামিদ দানিশমন্দ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। এ সময় বাংলার সুলতান নাসির উদ্দীন নসরত শাহ ৯৩০হিজরী (১৫২৩ খ্রী.) এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের সম্মুখে একটি শিলালিপি স্থাপন করেন। বর্তমানে তা করাচী যাদুঘরে আছে বলে জানা গেছে।