অত্যাচারী নারীদের আচরণ পরিবর্তন করা উচিত


ইত্তফাক,১৯/৪/২০১৯

.

মিলা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা।তার কন্ঠ ও সুরের প্রতিভা জন্মগত।সাধনা এসব অর্জন করা যায় না।
কিন্ত তার সাজ-সজ্জা ও নাচ খুবই উগ্র ও আপত্তিকর।

তবে তার প্রশংসা করার দিক হচ্ছে তিনি একজন আদর্শ বাঙ্গালী মহিলার মতো স্বামী সংসার নিয়ে সুখী জীবন-যাপন করতে চেয়েছিলেন।অগণিত পুরুষের সাথে সম্পর্ক না করে দীর্ঘদিনের প্রেমিককেই বিয়ে করেছিলেন।কিন্ত তার প্রায় একযুগের প্রেমিক বিয়ের পর চরম লম্পট ও অত্যাচারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।এজন্য তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন এবং কারাদন্ডও ভোগ করিয়েছেন।

ইত্তেফাকে তিনি তার উপর তার শ্বাশুরীর অত্যাচারের যে বিবরণ দিয়েছেন,তা যেকোন মানুষকে স্তম্ভিত করবে।

মেয়ে বলে নিয়ে আসা ঘরের বউকে তার শ্বাশুরী গোসলঘরের দরজা ভেঙ্গে পোষাক ছাড়াই ধরে নিয়ে এসে সবার সামনে মারধর করেছে বলে তার অভিযোগ।

একজন অভিজাত পরিবারের শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান মহিলার উপরই যদি এরকম অত্যাচার হয়,তাহলে নীম্নশ্রেণীর পরিবারগুলিতে মেয়েদের উপর শ্বাশুরী-ননদ চক্র কি রকম অত্যাচার করতে পারে,সেটা অনুমান করা কঠিন না।

এসব দৃশ্য দেখে কোন শিশুই মহিলাদের সন্মান করতে শিখবে না।

এবং প্রতিটা যৌন নীপিড়ণকারী ও ধর্ষক তার পরিবারের মহিলাদের অন্য মহিলাদের উপর জঘণ্য অত্যাচার চালাতে দেখে বেড়ে উঠার ফলেই নারীদের প্রতি তাদের কোন সন্মানবোধ তৈরী হয় না।তাই তারা সবমসয়ই তাদের নীপিড়ণের সুযোগ খোজে,সেটা ঘর,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,অফিস-সবজায়গাতেই।

সত্যিকার অর্থে সরাসরি ধর্ষণ ছাড়া বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বলে আর কিছু নাই। নির্যাতনের প্রতিটা ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ অথবা মূল ভূমিকা পালন করে একজন নারী।ফেনীর নুসরাতকেও মিথ্যা খবর দিয়ে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো তারই দুই মেয়ে সহপাঠী। তাকে আগুন দেয়াতেও তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ ছিলো।

সুতরাং নারী নির্যাতননের জন্য পুরুষ দায়ী বলে চিৎকার না করে নারীদের উচিত আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা। 

বউ,গৃহকর্মীদের উপর অত্যাচারে তাদের ভূমিকা সবসময়ই বেশী।পরকিয়া করে এক নারীর সংসার ভাঙ্গে অন্য নারীই। তারা না চাইলে কোন পুরুষ তাকে পরকিয়াতে বাধ্য করতে পারে না।

যেসব নারী তাদের সন্তান বা ভাইদের অন্য নারীকে সন্মানের শিক্ষা দিতে পারে না,ঘৃণা তাদেরও প্রাপ্য।

সুতরাং দেশের অত্যাচারী সব নারীর উচিত নারী নির্যাতনের পিছনের তাদের ভূমিকার পরিবর্তন করা ।

আর সেটা করতে না পারলে অত্যাচারিত হবে তাদের মেয়ে সন্তানরাই।

Comments