এসব ‘ভয়ানক বিপদ’ থেকে ভালোবাসার দিবসে ছেলে মেয়েদেরকে নিরাপদ রাকুন


আর ক’দিন বাদেই ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস।

.

আর ক’দিন বাদেই ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও শুরু হয়েছে নানা রকম প্রস্তুতি। হোটেল, রেস্তোরাঁ, গিফট শপগুলো সেজে উঠেছে। কপোত-কপোতীরা ব্যস্ত নানা রকম পরিকল্পনায়। ভালোবাসার মানুষের সাথে বিশেষ দিনটি উদযাপনের পরিকল্পনা নিশ্চয়ই আছে আপনারও? তাহলে এই ফিচারটি আপনারই জন্যে। প্রতি বছরই ভালোবাসা দিবস পালন করতে গিয়ে নানা রকমের ঝামেলা, কখনো কখনো ভয়ানক বিপদের মুখোমুখি পড়তে হয় অনেককেই। আপনারা স্বামী-স্ত্রী হয়ে থাকুন বা প্রেমিক-

প্রেমিকা, ভালোবাসা দিবসে নিরাপদ থাকতে এই পরামর্শগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।১। বেড়াতে যাওয়ার স্থান নির্বাচন করুন সাবধানে। একটু নির্জনতা খুঁজতে এমন কোথাও যাবেন না, যেখানে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। পার্ক বা ঢাকার অদূরে কোনো বেড়ানোর স্থানে গেলে দুজনে নিরিবিলি নির্জনতা খুঁজবেন না, বরং ভিড়ের মাঝেই থাকুন। বিশেষ দিনগুলোতে এসব স্থানে দুর্বৃত্তরা ওত পেতে থাকে। ছিনতাই থেকে শুরু করে

নানা রকমের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। কোনো রিসোর্টে বেড়াতে গেলে অবশ্যই সুপরিচিত স্থানে যান।২। ভিড়ের মাঝে নিজের হাতব্যাগ বা মানিব্যাগ সাবধানে রাখুন, কেননা পকেটমারের আশঙ্কা ষোল আনা। অন্যদিকে নিজের সঙ্গিনীর দিকেও খেয়াল রাখুন পুরুষরা। ভিড়ভাট্টার সুযোগে অনেক লম্পট মেয়েদের লাঞ্ছিত করে।৩। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে পরিচিত ও ভালো জায়গাতেই যান। অনেক সস্তা দরের রেস্তোরাঁ এই বিশেষ দিনে ওত পেতে থাকে। সুযোগ বুঝে যুগলদের ফাঁদে ফেলে, তিন-চার গুণ টাকা দাবিসহ প্রেমিক-প্রেমিকাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ

হাতিয়ে নেয়। একটু নিরিবিলি প্রেম করার সুযোগ খুঁজতে এমন রেস্তোরাঁয় চলে যাবেন না।৪। একজন মানুষের যৌন জীবন অবশ্যই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু তবুও, এ ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কাকেও অবহেলা করা যায় না। অনেক উঠতি বয়সের কিশোরী বা তরুণীই এই দিনে প্রেমিককে বিশ্বাস করে প্রতারিত ও ধর্ষিত হয়ে থাকেন। তাই পরামর্শ থাকবে এই, প্রেমিকের সাথে কারো ফ্ল্যাট, কারো বাড়ি বা কোনো হোটেলে

যাবেন না। দেখা করতে হলে পাবলিক প্লেসে দেখা করুন। সিনেমা দেখুন, রেস্তোরাঁয় খান, বইমেলা ঘুরে আসুন। কিন্তু ফ্ল্যাট বা হোটেল নয়। ঘণ্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া নিয়ে বেড়ানোর নাম করেও অনেক রকমের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এসব স্থান পরিহার করুন।৫। প্রেমিক বা স্বামীর বন্ধুদের সাথে দলবেঁধে নির্জন স্থানে বেড়াতে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমন কোনো গ্রুপের সাথে অচেনা স্থানে চলে যাবেন না, যাদেরকে আপনি ভালো করে চেনেন না বা যে গ্রুপে নারীদের সংখ্যা দুয়েকজন। অবিশ্বাসের এই পৃথিবীতে কাউকেই চোখ বুজে বিশ্বাস করতে নেই। নিজের নিরাপত্তা নিজের কাছেই।৬। অল্প ক’দিন হলো অনলাইনে প্রেম হয়েছে, ভালোবাসা দিবসের দিনেই প্রথম দেখা হবে? একদম বিরত থাকুন এই কাজে। ভালোবাসা দিবসের দিন এভাবে অসংখ্য নারী-পুরুষ ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।৭। নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকার প্ররোচনায় কোনোরকমের মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, যে মাদক সেবন করতে বলবে, সে কোনোভাবেই আপনজন নয়।৮। পাবলিক প্লেসে আপত্তিকর আচরণ করা থেকে বিরত করুন। কিছু সামাজিক বিধি-নিষেধ আমাদের সবাইকেই মানতে হয়, কারণ তা শোভন। আমাদের দেশে এমন আচরণের জন্য পুলিশি ঝামেলায় পর্যন্ত জড়িয়ে যেতে পারেন, যা প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্যে মোটেও সুবিধাজনক ব্যাপার হবে না।৯। খুব বেশি রাত পর্যন্ত বাইরে ঘোরাঘুরি না করাই উত্তম। রাত বাড়ার সাথে সাথে ছিনতাইসহ নানা রকমের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে অনেক এলাকাতেই। নিজে নিরাপদ থাকুন, প্রিয়জনকেও নিরাপদ রাখুন। আমাদের দেশ এখনো রাত-বিরেতে আনন্দ করার জন্যে নিরাপদ নয়। ভালোবাসার দিনটি কাটুক প্রিয়জনের সাথে আনন্দে, সঙ্গী হোক অসংখ্য সুখস্মৃতি। ভালো থাকুন। উৎস: প্রিয়.কম।

393 Просмотры

Комментарии