৩০ ডিসেম্বর, ২০০৬ সাল। মধ্যরাত। রাত পোহালেই মুসলমানদের ঈদের দিন। মাত্র কয়েক ঘন্টা পর ইরাকী নেতা সাদ্দাম হোসাইনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।
সব আয়োজন যখন চূড়ান্ত তখন কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকলেন সাদ্দাম হোসাইন। বললেন, আমার কোটটি নিয়ে এসো, সেটি গায়ে দিয়ে আমি ফাঁসির মঞ্চে যাবো। প্রহরীর চোখে বিস্ময়, জীবনের শেষ মূহুর্তে কোট চাওয়ার কী অর্থ হতে পারে?
সাদ্দাম হোসাইন বললেন বাইরে অনেক ঠান্ডা। গাঁ আমার ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার কালে মধ্যরাতের ঠান্ডায় যদি আমার শরীর কাঁপে, তবে আমাকে যারা ফাঁসি দিচ্ছে তারা (শয়তানরা) ভাববে, সাদ্দাম হোসাইন মৃত্যুর ভয়ে কেঁপেছিল। আমি তা বলার সুযোগ দেব না। তারপর আস্তে আস্তে একেবারে ধীর-স্থিরভাবে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন কোনো রকমের ভয়-ভীতি ছাড়া। আমি ফাঁসির এই ভিডিওটি দেখেছি চাইলে আপনারাও দেখে নিবেন। কোনো মুসলিম নেতা ফাঁসিকে অবশ্যই ভয় পান না।
https://www.youtube.com/watch?v=LVx1lkhaldY
সাদ্দাম হোসাইনের উপর হামলা করা দুনিয়ার সকল আইনের পরিপন্থি একটি জঘন্য অপরাধ ছিল এটা কারো অজানা নয়। আমরা এই মহান নেতার জান্নাত কামনা করছি। এবং হামলাকারীদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একটি স্বাধীন দেশের বাদশাকে সারা পৃথিবীর নিষেধ ও অনুরোধ অমান্য করে একেবারে অহেতুক, অন্যায়ভাবে সমস্ত পৃথিবীতে নিষিদ্ধ এমন সব পারমানবিক মারণাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ সেনাদল নিয়ে আক্রমন করে তাঁরই নিজের দেশে বন্ধী করে নিজেদের মনগড়া আদালত বানিয়ে পৃথিবীর সকল শয়তান গোষ্ট্রি একত্রিত হয়ে মুসলমানদের ঈদের রাতে মুসলমানদের কলিজায় ছুরি মেরে ফাঁসির কাষ্টে সাদ্দাম হোসেনকে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করে আমেরিকা তার আসল ইবলিসী চেহারা প্রকাশ করেছে যার বিচার দুনিয়াতে হলে সাজা কম হতো বলে আমি মনে করি, তাই অনন্তকালের সাজা কার্যকরের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা মানূষের চেহারারূপী শয়তানদের উপর কোনো রকম গজব প্রয়োগ করেননি। এটা স্বযত্নে আখেরাতের এজন্য রেখে দিয়েছেন এ কারণে মুসলিম ভাইদের হতাশ হবার কোনো হেতু দেখছি না। বরং মহান আল্লাহর কাছে হাত তুলে প্রাণ খুলে দোয়া করবেন আমাদের প্রিয় মুসলিম ভাই ইরাকের সুনামধন্য মুসলিম নেতার জন্য যেন তাঁর এই আত্বদানকে আল্লাহপাক শহীদী মর্যাদা দান করেন এবং তাঁর মৃত্যু যেন মুসলিম জাগরনের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। আমিন! ছুম্মা আমিন!!!
মো: নজরুল ইসলাম
www.tkincome.com
আমরা কথায় না ইনকামে বিশ্বাসী