একদা বড় এক জাহাজে মারাত্বক যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। মেরামতের জন্য জাহাজের মালিক দেশের সমস্ত বিশেষজ্ঞ ইঞ্ছিনিয়ারকে হায়ার করেন। কিন্তু জাহাজের বিষয়টি ছিল অনেক ক্রিটিক্যাল। তাই দেশের কেউ পারলেন না জাহাজের ত্রুটি সারিয়ে দিতে। তারপর বিদেশ থেকেও বেশ কয়েক জনকে অনুরোধ করে আনলেন। তারাও ব্যর্থ হলেন।
এরপর জাহাজের মালিক এক বৃদ্ধ ইঞ্ছিনিয়ারের সংবাদ পেলেন। যিনি বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে নিয়েছেন তার ইঞ্ছিনিয়ারিং কাজের জন্য। মালিক আর বিলম্ব না করে বৃদ্ধ ইঞ্ছিনিয়ারকে নিয়ে আসলেন। তাকে অনেক আদর-সমাদর করলেন এবং মালিক নিজে বৃদ্ধের সাথে কাজে অংশ নিলেন।
বৃদ্ধ তার যন্ত্রপাতির বাক্স বের করলেন এবং জাহাজের ইঞ্ছিনের প্রতিটি পার্ট অতি মনযোগের সাথে অবলোকন করতে লাগলেন। অবশেষে সমস্যাটি কোথায় তা তিনি বুঝতে সক্ষম হলেন। তারপর যন্ত্রপাতির বাক্স বের করে একটি ছোট্ট হাতুড়ি বের করে ধীরে সুস্থে ইঞ্জিনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় হাতুড়ি দিয়ে কয়েকটা আঘাত করিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনটি সচল হয়ে উঠল।
মজার ব্যাপার হল, জাহাজের মালিক বৃদ্ধের সাথে সারাক্ষন লেগে থেকে বোঝার চেষ্টা করছিল যে কিভাবে বৃদ্ধ জাহাজটি মেরামত করে।
কাজ শেষে বৃদ্ধ তার হাতুড়িটি রেখে দিলেন এবং নিজ দেশে ফেরত চলে গেলেন।
কিছুদিন পর বৃদ্ধের নিজ হাতে লেখা একটি কাগজ আসল যাতে লিখা ছিল কাজের বিল ১ লক্ষ টাকা। এটা দেখে মালিকতো অবাক। মালিক মনে মনে ভাবল এই সামান্য একটি হাতুড়ির আঘাত করে ১ লক্ষ টাকা বিল কিভাবে দেই?
তাই সে কাগজ ফেরত পাঠাল আর অনুরোধ করে বলল, “দয়া করে তালিকাবদ্ধভাবে বিলের একটি মেমো প্রদান করুন।”
বৃদ্ধের বিল:
হাতুড়ির আঘাতের জন্য বিল ২০০ টাকা।
কোথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত দিতে হবে সেটা জানার জন্য বিল ৯৯,৮০০ টাকা।
মোট বিল- ২০০০০০ (দুই লক্ষ) টাকা।