একটা গরীব ছেলের জীবনের কাহিনী।।


গল্পটা পড়ে দেখার অনুরোধ রইল । যদি আপনি এই গল্পটা পরেন তাহলে আপনার সময় নষ্ট বিফলে যাবে না ।

.

একটা গরীব ছেলের জীবনের কাহিনী।। গল্পটা পড়ে দেখার অনুরোধ রইল । যদি আপনি এই গল্পটা পরেন তাহলে আপনার সময় নষ্ট বিফলে যাবে না । টিফিন এর সময় সব ছেলে-মেয়ে টিফিন করতে বাইরে গেল । সবাই ক্লাস থেকে বের হয়ে কেউ কেউ গেল ক্যান্টিন এ আবার কেউ কেউ মাঠে খেলতে । কিন্তু এর থেকে একটি ছেলে এর কোনটিতেই গেল না । মাঠের এক কোনে , গাছের নিচে বসে আছে । প্রতিদিন ই এই রকম দেখা যায় । ক্লাসে এ অনেকেই এই ছেলেটিকে দেখতে পারে না । ছেলেটার জামা নোংরা , চুল গুলো এলোমেলো । আর বাকিদের , সুন্দর জামা -কাপড়। সুন্দর করে পরিপাটি করে আসে সবাই শুধু ঐ ছেলেটি ছাড়া । সামনে পরীক্ষা । স্কুলে টাকা দিতে হবে । সবাই যার যার বাসায় জানায় । সবার বাবা-মা এসে টাকা পরিশোধ করে গেছে । শুধু ঐ ছেলেটির পরীক্ষার ফি বাকি । ছেলেটি ক্লাসে আসলেই স্যার ফি এর কথা জিজ্ঞাসা করে । আর ছেলেটি চুপ করে থাকে । এই ভাবে ২-৩ দিন গেল । স্যার রা বুঝতে পারলো , এই ছেলে ার টাকা দিতে পারবে না । হেড স্যারের কাছে নিয়ে ছেলের নামে নালিষ করলো । হেড সার ছেলেটিকে তার রুমে ডাকলো । অনেক বকা ঝকা করলো । বাবা-মা দিয়ে পরের দিন ক্লাসে আসতে বলল । "প্রথম দিন তোমার বাবা-মা এসে সেই যে ভর্তি করে দিয়ে গেল আর তাদের মুখ এ দেখলাম না ১ বছরের । কাল যদি তোমার বাবা-মা আমার সাথে দেখা না করে তুমি আর ক্লাসে আসবে না । এখন যাও । " ছেলেটির বয়স তত বেশী হবে সা ।১৪-১৫ . ছেলেটি কাদতে কাদতে ক্লাসে গিয়ে তার ছিড়া - ব্যাগ টি নিয়ে বের হয়ে গেল স্কুল থেকে । সেই থেকে ছেলেটি আর স্কুলে আসে না । অনেক দিন পর সেই স্কুলের হেড স্যার একদিন রাস্তায় রিক্সার জন্য দাড়িয়ে ছিল । কোথা থেকে যেন একটা রিক্সা এসে বলল , স্যার উঠেন । স্কুলে যাবেন ? স্যার একটু আশ্চর্য হয়ে রিক্সা চালকটির দিকে তাকিয়ে রইলো । একটা ১৪-১৫ বছরের ছেলে রিক্সা চালাচ্ছে । স্যার আরও বেশী অবাক হল , যখন দেখলো এই ছেলেটা সেই ছেলে . যাকে সে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে ছিল । স্যার আর কথা বলতে পারলো ণা । চুপ করে রিক্সায় উঠে বসলো। ছেলেটি কথা বলতে শুরু করলো। " স্যার , আমাকে চিনছেন ? = স্যার , না (না চিনার ভান করে বলল - ) "স্যার ঐ দিন পরীক্ষার ফি দিতে পারি নাই তাই আমাকে বের করে দিছিলেন। আমি সেই ছেলে । = হুম . চিনতে পারছি " স্যার আপনে ঐ দিন আমারে স্কুল থেকে বের না করে দিয়ে আমি , আজ না খেয়ে মরতাম । = মানে " স্যার আমি এতিম । রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম । আর বিভিন্ন স্কুলের সামনে দারাইয়া থাকতাম আর ভাবতাম আমি যদি পরতে পারতাম । একদিন একটা , সাহেব তার বউ আমারে দেইখা , আপনার স্কুলে ভর্তি করাইয়া দিছিল। আমি অনেক খুশি ছিলাম । কিন্তু স্কুলে ভর্তি করানোর পর আর সেই সাহেব- মেডাম রে দেখি নাই । আর আমি পাগলের মত , খাইয়া না খাইয়া সারা দিন স্কুলে পইরা থাকতাম । সাবই যখন টিফিন খেত , আমি দূরে এক কোনে বসে বসে , সবা্র খাওয়া দেখতাম । আর কান্না করতাম । ক্ষিধা অনেক লাগতো । কিন্তু ক্লাস করতে বেশী ভাল লাগতো । তাই না খাই য়া ক্লাস করতাম । আর রাতে গিয়া রাস্তার পাশে ঘুমাইতাম । আপনে আমারে স্কুল থেকে বের করে দেবার পর বুঝতে পারলাম , পড়া শুনা আমাদের জন্য না । যাদের পেটে ১ বেলা বরপেট খাবার জুটে না , বাবা- মা নাই তাদের জন্য পড়া লেখা না । তাই ঐ দিন থেকে স্যার আমি রিক্সা চালাই তাছি । এখন স্যার প্রতিদিন ৩ বেলা হোটেল এ ২ প্লেট ভাত , সাথে মাছ , ডাইল . দিয়া পেট ভইরা ভাত খাই । ..... স্যার মাফ কইরা দিয়েন , আমি কি সব বকবক কইরা আপনেরে ডিস্টার্ব করতাছি । স্যার স্কুল আইসা পরছে । = এই নেও ভাড়া । " স্যার এই ডা কি কন ? আপনি আমার স্যার , আপনার থেকে আমি টাকা নিয়া বেয়াদবি করতে পারমু না । স্যার । বলে ছেলেটা চলে গেল । আর ততখনে , হেড স্যারের , দুচোখ দিয়ে অঝর পানি পড়ছে । রিক্সায় যাও রুমাল দিয়ে মুছতেছিল , কিন্তু এখন যেন আর মুছে শেষ করা যাচ্ছে না । যেই ছেলে টা কে সে , না জেনে অনেক কথা শুনিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে ছে , আহ সেই ছেলে তাকে এত সম্মান দিল ? স্যার হাটতে হাটতে আর চোখের পানি মুছতে মুছতে নিজের রুমে ডুকলেন । " আসুন না , আমরা এই রকম কিছু গরীব ছেলেদের সাহায্যে এগিয়ে আসি ।

Comments