ভূতের সাথে প্রেম ( পার্ট ১ )


ভূতের সাথে প্রেম ( পার্ট ১ )

.

অনিমা কোনদিন আত্মা বিশ্বাস করে না।তাই অনিমা সবাই কে বলে আমি ভূত ছাড়া বিয়ে করবো না,আগে ভূতের সাথে প্রেম করবো তারপর বিয়ে করবো।সবাই বলে মেয়েটা অনেক দুষ্ট হয়েছে।তারপরের দিন অনিমা কলেজে যাচ্ছে হঠাৎ সামনে একজন রক্তাক্ত মানুষ দাড়িয়ে আছে যাকে অনিমা অনেক আগে দেখেছিল আর ছেলেটা তো প্রায় ৩বছর আগে মারা গেছে & ঐ দিনের কথা অনিমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে।ছেলেটা মরার আগে অনিমার কাছে বার বার সাহায্য চেয়েছিল & অনিমা ছেলেটা কে সাহায্য করতে চেয়েছিল কিন্তু অনিমা কে কেউ সাহায্য করে দেয়নি কারন এইটা ছিল পুলিশ ক্রেস তাই অনিমাকে সবাই জর করে এইখান থেকে চলে যেতে বলে, অনিমা ছেলেটার অবস্থা দেখে কান্না করে দেয় এবং অনিমা বার বার ছেলেটাকে বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্য চাই কিন্তু সেইদিন কেউ এগিয়ে আসে নি,ছেলেটা মৃতু্্যর আগে নিজের রক্ত দিয়ে লেখে যায়,,[ আমি আবার আসবো, আমার প্রতিশোধ নিতে,,]তারপর থেকে কেনো ছেলেটা অনিমার সাথে বার বার দেখা দিচ্ছে।আর ছেলেটাকে দেখে অনিমা ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
ঐদিনের পর থেকে অনিমা নিজে নিজে আবুল তাবুল কথা বলে। সবাই মনে করে হয়তো অনিমার অতিরিক্ত জ্বরের কারনে এই রকম হচ্ছে।কিন্তু না অনিমা মাঝ রাতে উঠে অনেক জরে জরে চিৎকার করে বলে তোদের সবাইকে আমি শেষ করে দিবো & কাউকে ছাড়বো না আমি,,এক এক করে সবাইকে শেষ করে দিব,যতদিন না তোদেরকে আমি শেষ করছি ততোদিন আমি শান্তিতে থাকতে পারবো না।
তারপর থেকে অনিমা অস্বাভাবিক আচারণ করতে থাকে।কারো সাথে বেশি কথা বলে না,একা একা থাকে।পড়ার নাম দিয়ে রুমে একা বসে ডাইরিতে কাদের নাম লেখে আর বলে তোরা আমাকে এই পৃথিবীতে থাকতে দিস নাই,আমিও তোদের কে বাঁচতে দিবো না।
অনিমা সবার স্বাভাবিক ভাবে চলার চেষ্টা করে যাতে ওকে কেউ সন্দেহ না করে।তারপরের দিন অনিমা কলেজ থেকে আশার সময় গাড়ির ভাড়া হারিয়ে পেলে তাই নিজের ফ্রেন্ডদের খুঁজতে থাকে কিন্তু সবাই চলে যায়।হঠাৎ ১টা ছেলে এসে বলে হ্যালো আমি আদি, আমি কি তোমায় হেল্প করতে পারি।
অনিমা:হুম,আমায় একটু বাসায় পৌঁছিয়ে দিবেন।আসলে আমার টাকা হারিয়ে গেছে তাই বাসায় যেতে পারছি না,,কথা দিচ্ছি কাল টাকা দিয়ে পেলবো আপনাকে।
আদি:ঠিক আছে,আমার বাইকে করে তোমায় বাসায় পৌঁছে দিবো কিন্তু কাল ভাড়া টা দিয়ে পেলবে কিন্তু।
অনিমা:ওকে।
তারপরের দিন কলেজে এসে,,এই যে আদি ভাইয়া একটু এদিকে আসেন।
আদি:হুম টাকা দাও
অনিমা:এই নিন।
আদি:মাত্র ২০টাকা।আচ্ছা তুমি কিসে করে বাসায় যাও
অনিমা:বাসে করে।
আদি:ও ম্যাডাম,এইটা বাস না বাইক।ওকে
এজন্য কাউকে হেল্প করতে নাই,এতো কষ্ট করে বাসায় পৌঁছে দিলাম আর দিল ২০টাকা।রিকশা করে নিয়ে গেলে তো এতো কষ্ট হত না,এমন হাতি কে কি কেউ নিয়ে যায়।
অনিমা:এই,আমাকে কি আপনার হাতি মনে হয়, আর কত টাকা দিতে হবে?যার জন্য এতো অপমান করছেন আমায়।
আদি:২০০টাকা
অনিমা:ঠিক আছে,আজকে ১০০টাকা দিচ্ছি কাল আর ১০০দিয়ে দিবো ওকে।
আদি:ঠিক আছে,তাহলে আজকেও বাসায় পৌঁছে দিবো নাকি
অনিমা:জি না,প্রয়োজন হলে এই খানে থাকবো বাসায় যাবো না।
আদি:কেন?আমার বাইকে গেলে কি তোমার সমস্যা হবে?
অনিমা:না,এমনি তো ১০০টাকা পাবে,আবার আজকে দিয়ে আসলে, কাল আপনাকে ৩০০টাকা দিতে হবে।তার থেকে না যাওয়া ভালো না।
আদি:যদি এমনি দিয়ে আসি প্রতিদিন তাহলে
অনিমা:আপনি কে শুধু শুধু কষ্ট করবেন?
আদি:আরে বুঝ নাই,তোমার বিয়ের পর আমার টাকার হিসাব টা মিলিয়ে নিবো আর কি।ছাড়া আজকে২০০কাল কে ২০০টাকা নেওয়ার থেকে এবারে সব টাকা একসাথে নিয়ে নিবো তাহলে ঐ টাকা দিয়ে পরে আমি নিজেই বিয়ে করতে পারবো।
অনিমা:হা হা হা,সত্যি আপনার মাথায় অনেক বুদ্ধি।
আদি:ঠিক আছে আজকে থেকে তোমায় প্রতিদিন বাসায় দিয়ে আসবো ওকে।
অনিমা:না আমাকে প্রতিদিন কলেজে নিয়েও আসতে হবে & দিয়েও আসতে হবে।ওকে
আদি:ওমা তাহলে তো দ্বিগুণ টাকা পাবো & ঐ টাকা দিয়ে আমি ২বিয়ে করতে পারবো।
অনিমা:মানুষ ১টা বউ সামলাতে পারে না আর আপনি ২টা বউ কিভাবে সামলাবেন?
আদি:তা তো ঠিক, এক কাজ করবো ঐ টাকা দিয়ে নিজের ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিবো।
অনিমা:গুড


এইভাবে অনিমার আর আদির ভালো লাগা থেকে শুরু হয় ভালোবাসা।কিন্তু অনিমার Bf কে আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি।সবাই বলে অনিমা নাকি নিজে নিজে কথা বলে,একা একা হাসে।তাই অনিমার পরিবার অনিমাকে ভালো ডাক্তার কবিরাজ & হুজুর দেখায়।সবাই বলে অনিমা ঠিক হবে না।তবে ১টা হুজুর বলে অনিমার সাথে ১টা আত্মা আছে,আর আত্মা টা নিজের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অনিমাকে ভর করেছে।যতদিন আত্মার প্রতিশোধ নেওয়া হবে না ততোদিন অনিমাকে ছাড়বে না।আর অনিমাকে যদি বিয়ে দিতে পারে হয়তো আত্মাটা ওকে ছেড়ে দিবে।তবে অনিমাকে বিয়ে করবে কে এই চিন্তায় অনিমার বাবা মা অবস্থা খুব খারাপ।
১দিন রাতে অনিমার ঘুম ভেঙ্গে যায় আর পাশে দেখে ঐ রক্তাক্ত ছেলেটা।অনিমা খুব ভয় পেয়ে যায়।তখন ছেলেটা বলে তুমি ভয় পেওনা,আমি তোমার আদি।
অনিমা:না তুমি,আমার আদি না।তুমি ঐ ছেলেটা যে ৩বছর আগে মারা গেছে।আর আমার ঐ দিনটার কথা এখনো স্পষ্ট মনে আছে
আদি:দেখ অনিমা আমি তোমার কোনো ক্ষতি চাই না,তুমি আমাকে একটু সাহায্য কর,আমি আমার প্রতিশোধ নিয়ে চলে যাবো।তুমি যানো আমায় খুব খারাপ ভাবে মারা হয়েছে & আমার বাবাকে ও ওরা মেরে পেলবে।হয়তো তুমি বলবে কেনো আমি তোমার পিছু নিয়েছি।তার কারন আমার মৃত্যু সময় তুমি আমাকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছ কিন্তু কেউ তোমায় সাহায্য করেনি। আমার জন্য তুমি অনেক কেঁদেছ।আর আজও ঐ দিনটা তুমি ভুলতে পারনি।তুমি যেভাবে হক আমাকে সাহায্য কর প্লিজ
অনিমা:কিন্তু কিভাবে
আদি:আমি তোমার শরীল ব্যবহার করে এক এক করে সবাইকে শেষ করে আমার প্রতিশোধ নিবো& চলে যাবো
অনিমা:আমায় বলো কে বা কারা তোমায় হত্যা করেছে &কেন?আমি সবাইকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবো এইদেশে আইন বলে কিছু আছে
আদি:না এই দেশে আইন বলে কিছুই নেই।যদি থাকতো তাহলে আমাকে এইভাবে কেউ মারতে পারতো না।আমি যতদিন ওদের নিজের হাতে শেষ না করছি ততোদিন আমার আত্মা শান্তি পাবে না।আজকেই শুরু হলো আমার প্রতিশোধ নেওয়ার।

[আদি কি পারবে নিজের হত্যা প্রতিশোধ নিতে জানতে হলে নেক্সট পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন]

963 Views

Comments