করোনাভাইরাস: টেস্ট করাতে চেয়েও অনেকে পারছেন না।
আরেকটি জেলা থেকে একজন নারী নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় এক সপ্তাহ আগে তিনি নমুনা দিয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও তা পাচ্ছেন না। তিনি এই পরিস্থিতি কি করবেন সেটাও বুঝতে পারছেন না।
"আমি বেশকিছুদিন আগে টেস্ট করিয়েছি। কিন্তু রিপোর্ট পাচ্ছি না। আমাকে ঘোরানো হচ্ছে। এখানে ওখানে সেখানে বিভিন্ন জায়গায় যেতে বলা হচ্ছে, আমি যাচ্ছি। কিন্তু সাতদিন হয়ে গেলো এখনও রিপোর্ট পাই নি।"
এ যাবত সর্বোচ্চ ৭২৮০জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায়।
আর দুই মাসে মোট ১লাখ ৩০ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে এই পরীক্ষার সংখ্যা নগন্য।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, যেটুকু পরীক্ষা হচ্ছে, তাতেই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। সেখানে পরীক্ষার সংখ্যা না বাড়িয়ে সংক্রমণের হার একটা পর্যায় রাখার কোন কৌশল আছে কিনা, এমন সন্দেহও করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মনে করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই পরীক্ষা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
সরকার এমন বক্তব্য নাকচ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: হাবিবুর রহমান খান বলেছেন, "আমরা আরটিপিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ল্যাবে সঠিক টেস্ট করার চেষ্টা করছি। এই কারণে খুব দ্রুত বাড়ানোটা কঠিন।তারপরও বলবো, একটা ল্যাব থেকে ৩৭টা ল্যাবে পরীক্ষা উন্নীত করা গেছে। এখন ছয় সাত হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে। আমাদের চেষ্টা আছে, পরীক্ষার সংখ্যা আপাতত ১০০০০পর্যন্ত উণ্নীত করতে পারি কিনা-এবং এটা করতে পারলে আরও বাড়ানোর চেষ্টা সরকার করবে।"
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক একজন পরিচালক ডা: বে-নজীর আহমেদ মনে করেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ল্যাবে পরীক্ষা করা পর্যন্ত লোকবলের অভাব রয়েছে। ল্যাবের সংখ্যা এখনও অনেক কম। এসব ঘাটতিকেই পরীক্ষা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ হিসাবে তিনি দেখেন।
Md shamol Reza
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?