ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিত মুনাজাত?
_________________________________
মসজিদের ইমামের নেতৃত্বে, ফরজ
সালাতের পরে সম্মিলিত মুনাজাত
‘মুনাজাত’ অর্থ
‘পরস্পরে গোপনে কথা বলা’।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ْﻢُﻛَﺪَﺣَﺃ َّﻥِﺇ ﺍَﺫِﺇ
ﻳُﻨَﺎﺟِﻰْ ﻰَّﻠَﺻ ُﻪَّﺑَﺭ ‘তোমাদের কেউ যখন
সালাতে রত থাকে, তখন সে তার
প্রভুর সাথে ‘মুনাজাত’ করে অর্থাৎ
গোপনে কথা বলে’।
বুখারী (দিল্লী ছাপা) ১/৭৬ পৃঃ;
মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৭১০,
‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘মসজিদ ও
ছালাতের স্থানসমূহ’ অনুচ্ছেদ-৭ ; َّﻥِﺇ
ﻰِﺟﺎَﻨُﻳ ﻰِّﻠَﺼُﻤْﻟﺍ ُﻪَّﺑَﺭ আহমাদ, মিশকাত
হা/৮৫৬ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’
অনুচ্ছেদ-১২
তাই সালাত কোন ধ্যান নয়,
বরং আল্লাহর
কাছে বান্দার
সরাসরি ক্ষমা চাওয়া ও
প্রার্থনা নিবেদনের নাম। দুনিয়ার
কাউকে যা বলা যায় না,
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর
সাথে বান্দা তাই-ই বলে। আল্লাহ
স্বীয় বান্দার চোখের ভাষা বুঝেন ও
হৃদয়ের কান্না শোনেন।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক।
আমি তোমাদের
ডাকে সাড়া দেব’ (মুমিন/গাফির
৪০/৬০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
‘দো‘আ হ’ল ইবাদত’।
আহমাদ, আবুদাঊদ প্রভৃতি, মিশকাত
হা/২২৩০ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ২য়
পরিচ্ছেদ
দো‘আ করার পদ্ধতি সুন্নাত
অনুযায়ী হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) কোন পদ্ধতিতে দো‘আ
করেছেন,
আমাদেরকে সেটা দেখতে হবে।
তিনি যেভাবে প্রার্থনা করেছেন,
আমাদেরকে সেভাবেই
প্রার্থনা করতে হবে। তাঁর
রেখে যাওয়া পদ্ধতি ছেড়ে অন্য
পদ্ধতিতে দো‘আ করলে তা কবুল হওয়ার
বদলে গোনাহ হওয়ারই
সম্ভাবনা বেশী থাকবে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সালাতের মধ্যেই
দো‘আ করেছেন।
তাকবীরে তাহরীমার পর
থেকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত
সময়কাল হ’ল সালাতের সময়কাল।
আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩১২
‘ত্বাহারৎ’ অধ্যায়-৩, ‘যা ওযূ ওয়াজিব
করে’ অনুচ্ছেদ-১, পরিচ্ছেদ-২
সালাতের এই
নিরিবিলি সময়ে বান্দা স্বীয় প্রভুর
সাথে ‘মুনাজাত’ করে। ‘ছানা’
হ’তে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত
ছালাতের সর্বত্র কেবল দো‘আ আর
দো‘আ। অর্থ বুঝে পড়লে উক্ত
দো‘আগুলির বাইরে বান্দার আর তেমন
কিছুই চাওয়ার থাকে না। তবুও
সালাম ফিরানোর পরে একাকী দো‘আ
করার প্রশস্ত সুযোগ রয়েছে। তখন
ইচ্ছামত যেকোন ভাষায় যেকোন বৈধ
দো‘আ করা যায়।
যা-দুল মা‘আ-দ (বৈরূত : মুওয়াসসাসাতুর
রিসালাহ, ২৯তম সংস্করণ ১৯৯৬), ১/২৫০
সালাতে দো‘আর স্থান সমূহ :
১) সানা বা দো‘আয়ে ইস্তেফতা-হ,
যা ‘আল্লা-হুম্মা বা-‘এদ বায়নী’
দিয়ে শুরু হয়
২) শ্রেষ্ঠ দো‘আ হ’ল সূরায়ে ফাতিহার
মধ্যে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ও‘ইহ্দিনাস
সিরা-ত্বাল মুস্তাকীম’
৩) রুকূতে ‘সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা…’।
৪) রুকূ হ’তে উঠার পর ক্বওমার দো‘আ
‘রববানা ওয়া লাকাল হাম্দ হাম্দান
কাছীরান’… বা অন্য দো‘আ সমূহ।
৫) সিজদাতেও ‘সুবহা-নাকা আল্লা-
হুম্মা’… বা অন্য দো‘আ সমূহ।
৬) দুই সিজদার মাঝে বসে ‘আল্লা-
হুম্মাগ্ফিরলী…’ বলে ৬টি বিষয়ের
প্রার্থনা।
৭) শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদের পরে ও
সালাম ফিরানোর
পূর্বে দো‘আয়ে মাসুরাহ সহ বিভিন্ন
দো‘আ পড়া। এ ছাড়াও রয়েছে
৮)
ক্বওমাতে দাঁড়িয়ে দো‘আয়ে কুনূতের
মাধ্যমে দীর্ঘ দো‘আ করার সুযোগ।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, সিজদার সময়
বান্দা তার প্রভুর সর্বাধিক
নিকটে পৌঁছে যায়। অতএব ঐ সময়
তোমরা সাধ্যমত বেশী বেশী দো‘আ
কর।
মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৪ ‘সিজদা ও
তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-১৪ ; নায়ল ৩/১০৯
পৃঃ
অন্য হাদীসে এসেছে যে, তিনি শেষ
বৈঠকে তাশাহ্হুদ ও সালামের
মধ্যবর্তী সময়ে বেশী বেশী দো‘আ
করতেন।
মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩
‘তাকবীরের পর যা পড়তে হয়’
অনুচ্ছেদ-১১
সালাম ফিরানোর পরে আল্লাহর
সঙ্গে বান্দার ‘মুনাজাত’ বা গোপন
আলাপের সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব
সালাম ফিরানোর আগেই যাবতীয়
দো‘আ শেষ করা উচিত, সালাম
ফিরানোর পরে নয়। যদি কেউ
মুছল্লীদের নিকটে কোন
ব্যাপারে বিশেষভাবে দো‘আ চান,
তবে তিনি আগেই
সেটা নিজে অথবা ইমামের
মাধ্যমে সকলকে অবহিত করবেন।
যাতে মুছল্লীগণ নিজের দো‘আর
নিয়তের মধ্যে তাকেও শামিল
করতে পারেন।
ফরয ছালাত বাদে সম্মিলিত দো‘আ
ফরয সালাত শেষে সালাম ফিরানোর
পরে ইমাম ও
মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে হাত
উঠিয়ে ইমামের সরবে দো‘আ পাঠ ও
মুক্তাদীদের সশব্দে ‘আমীন’ ‘আমীন’
বলার প্রচলিত প্রথাটি দ্বীনের
মধ্যে একটি নতুন সৃষ্টি। রাসূলুল্লাহ
(সঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম হ’তে এর
পক্ষে ছহীহ বা যঈফ সনদে কোন দলীল
নেই। বলা আবশ্যক যে, আজও মক্কা-
মদীনার দুই হারাম-এর মসজিদে উক্ত
প্রথার কোন অস্তিত্ব নেই।
প্রচলিত সম্মিলিত দো‘আর ক্ষতিকর
দিক সমূহ
১) এটি সুন্নাত বিরোধী আমল। অতএব
তা যত মিষ্ট ও সুন্দর মনে হৌক
না কেন সূরায়ে কাহ্ফ-এর ১০৩-৪
নং আয়াতের মর্ম অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির
ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের অন্তর্ভুক্ত
হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
২) এর ফলে মুসল্লী স্বীয় সালাতের
চাইতে সালাতের বাইরের বিষয়
অর্থাৎ প্রচলিত ‘মুনাজাত’কেই
বেশী গুরুত্ব দেয়। আর এজন্যেই
বর্তমানে মানুষ ফরয সালাতের
চাইতে মুনাজাতকে বেশী গুরুত্ব
দিচ্ছে এবং ‘আখেরী মুনাজাত’ নামক
বিদ‘আতী অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে বেশী আগ্রহ বোধ করছে ও
দলে দলে সেখানে ভিড় জমাচ্ছে।
৩) এর মন্দ পরিণতি হচ্ছে, একজন
মুসল্লী সারা জীবন সালাত আদায়
করেও কোন কিছুর অর্থ শিখে না।
বরং সালাত শেষে ইমামের
মুনাজাতের মুখাপেক্ষী থাকে।
৪) ইমাম আরবী মুনাজাতে কী বললেন
সে কিছুই বুঝতে পারে না।
ওদিকে নিজেও কিছু বলতে পারে না।
সে সালাতের
মধ্যে যে দো‘আগুলো পড়েছে, অর্থ
না জানার কারণে সেখানেও তার
আবেগ ছিল না। ফলে জীবনভর ঐ
মুছল্লীর
অবস্থা থাকে ‘না ঘরকা না ঘাটকা’।
৫) মুসল্লীর মনের কথা ইমাম
ছাহেবের অজানা থাকার
ফলে মুছল্লীর কেবল ‘আমীন’ বলাই
সার হয়।
৬) ইমাম সাহেবের দীর্ঘক্ষণ
ধরে আরবী-উর্দূ-বাংলায় বা অন্য
ভাষায় করুণ সুরের মুনাজাতের
মাধ্যমে শ্রোতা ও মুছল্লীদের মন জয়
করা অন্যতম উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
ফলে ‘রিয়া’ ও ‘শ্রুতি’-র
কবীরা গোনাহ হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। ‘রিয়া’-
কে হাদীসে ‘ছোট শিরক’
বলা হয়েছে।
আহমাদ, মিশকাত হা/৫৩৩৪ ‘হৃদয়
গলানো’ অধ্যায়-২৬, ‘লোক দেখানো ও
শুনানো’ অনুচ্ছেদ-৫
যার ফলে ইমাম ছাহেবের সমস্ত
নেকী বরবাদ হয়ে যাওয়ার নিশ্চিত
সম্ভাবনা সৃষ্টি হ’তে পারে।
সালাতে হাত তুলে সম্মিলিত দো‘আ :
(১) ‘ইস্তিসক্বা’ অর্থাৎ
বৃষ্টি প্রার্থনার সালাতে ইমাম ও
মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে দু’হাত
তুলে দো‘আ করবে। এতদ্ব্যতীত (২)
‘কুনূতে নাযেলাহ’ ও ‘কুনূতে বিতরে’ও
করবে।
একাকী দু’হাত তুলে দো‘আ :
সালাতের বাইরে যে কোন
সময়ে বান্দা তার প্রভুর
নিকটে যে কোন ভাষায় দো‘আ করবে।
তবে হাদীসের দো‘আই উত্তম।
বান্দা হাত
তুলে একাকী নিরিবিলি কিছু
প্রার্থনা করলে আল্লাহ তার হাত
খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ
করেন।
আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২২৪৪, ‘দো‘আ
সমূহ’ অধ্যায়-৯
খোলা দু’হস্ততালু একত্রিত
করে চেহারা বরাবর
সামনে রেখে দো‘আ করবে।
আবুদাঊদ হা/১৪৮৬-৮৭, ৮৯; ঐ, মিশকাত
হা/২২৫৬
দো‘আ শেষে মুখ মাসাহ করার হাদীছ
যঈফ।
আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত
হা/২২৪৩, ৪৫, ২২৫৫ ‘দো‘আ সমূহ’
অধ্যায়-৯; আলবানী বলেন, দো‘আর
পরে দু’হাত মুখে মোছা সম্পর্কে কোন
ছহীহ হাদীছ নেই। মিশকাত,
হাশিয়া ২/৬৯৬ পৃঃ;
ইরওয়া হা/৪৩৩-৩৪, ২/১৭৮-৮২ পৃঃ
বরং উঠানো অবস্থায় দো‘আ
শেষে হাত ছেড়ে দিবে।
(১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতের
জন্য আল্লাহর নিকট হাত
উঠিয়ে একাকী কেঁদে কেঁদে দো‘আ
করেছেন।
মুসলিম হা/৪৯৯, ‘ঈমান’ অধ্যায়-১,
‘উম্মতের জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
দো‘আ করা’ অনুচ্ছেদ-৮৭
(২) বদরের যুদ্ধের দিন
তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে আল্লাহর
নিকটে একাকী হাত তুলে কাতর
কণ্ঠে দো‘আ করেছিলেন। মুসলিম
হা/৪৫৮৮ ‘জিহাদ’ অধ্যায়-৩২,
অনুচ্ছেদ-১৮, ‘বদরের
যুদ্ধে ফেরেশতাগণের দ্বারা সাহায্য
প্রদান
(৩) বনু জাযীমা গোত্রের কিছু লোক
ভুলক্রমে নিহত হওয়ায় মর্মাহত
হয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একাকী দু’বার
হাত উঠিয়ে আল্লাহর
নিকটে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৭৬ ‘জিহাদ’
অধ্যায়-১৯, অনুচ্ছেদ-৫;
বুখারী হা/৪৩৩৯ ‘দো‘আ সমূহ’
অধ্যায়-৮০, ‘দো‘আয় হাত উঁচু করা’
অনুচ্ছেদ-২৩
(৪) আওত্বাস যুদ্ধে আবু
মূসা আশ‘আরী (রাঃ)-এর নিহত
ভাতিজা দলনেতা আবু ‘আমের
আশ‘আরী (রাঃ)-এর জন্য ওযূ করে দু’হাত
তুলে একাকী দো‘আ করেছিলেন।
এটি ছিল ৮ম হিজরীতে সংঘটিত
‘হোনায়েন’ যুদ্ধের পরপরই।
বুখারী হা/৪৩২৩, ‘যুদ্ধ-বিগ্রহ সমূহ’
অধ্যায়-৬৪, ‘আওত্বাস যুদ্ধ’ অনুচ্ছেদ-৫৬
(৫) তিনি দাওস কওমের হেদায়াতের
জন্য ক্বিবলামুখী হয়ে একাকী দু’হাত
তুলে দো‘আ করেছেন।
বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৬১১;
মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত
হা/৫৯৯৬
(৬) হজ্জ ও ওমরাহ কালে সাঈ করার
সময় ‘ছাফা’ পাহাড়ে উঠে কা‘বার
দিকে মুখ ফিরিয়ে দু’হাত তুলে দো‘আ
করা।
আবুদাঊদ হা/১৮৭২; মুসলিম, মিশকাত
হা/২৫৫৫
(৭) আরাফার ময়দানে একাকী দু’হাত
তুলে দো‘আ করা।
নাসাঈ হা/৩০১১
(৮) ১ম ও ২য় জামরায় কংকর
নিক্ষেপের পর একটু
দূরে সরে গিয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে দু’
হাত তুলে দো‘আ করা।
বুখারী হা/১৭৫১-৫৩, ‘হজ্জ’ অধ্যায়-২৫,
‘জামরায় কংকর নিক্ষেপ ও হাত উঁচু
করে দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-১৩৯-৪২
(৯) মুসাফির অবস্থায় হাত তুলে দো‘আ
করা।
মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০
তাছাড়া জুম‘আ ও ঈদায়েনের খুৎবায়
বা অন্যান্য সভা ও সম্মেলনে একজন
দো‘আ করলে অন্যেরা (দু’হাত
তোলা ছাড়াই) কেবল ‘আমীন’ বলবেন।
ছহীহ আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৪৬১;
ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৮/২৩০-৩১
; ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম পৃঃ ৩৯২
এমনকি একজন দো‘আ করলে অন্যজন সেই
সাথে ‘আমীন’ বলতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, দো‘আর জন্য সর্বদা ওযূ
করা, ক্বিবলামুখী হওয়া এবং দু’হাত
তোলা শর্ত নয়। বরং বান্দা যে কোন
সময় যে কোন অবস্থায় আল্লাহর
নিকটে প্রার্থনা করবে। যেমন
খানাপিনা, পেশাব-পায়খানা,
বাড়ীতে ও সফরে সর্বদা বিভিন্ন
দো‘আ করা হয়ে থাকে। আর আল্লাহ
যে কোন সময় যে কোন অবস্থায়
তাঁকে আহবান করার জন্য বান্দার
প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
বাক্বারাহ ২/১৮৬, মুমিন/গাফের
৪০/৬০; বুখারী ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৮০,
অনুচ্ছেদ-২৪, ২৫ ও অন্যান্য অনুচ্ছেদ সমূহ
কুরআনী দো‘আ :
রুকূ ও সিজদাতে কুরআনী দো‘আ
পড়া নিষেধ আছে।
মুসলিম, মিশকাত হা/৮৭৩ ‘ছালাত’
অধ্যায়-৪, ‘রুকূ’ অনুচ্ছেদ-১৩ ; নায়ল
৩/১০৯ পৃঃ
তবে মর্ম ঠিক রেখে সামান্য
শাব্দিক পরিবর্তনে পড়া যাবে।
যেমন রববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া …
(বাক্বারাহ ২/২০১)-এর স্থলে আল্লা-
হুম্মা রববানা আ-তিনা অথবা আল্লা-
হুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া …বলা।
বুখারী হা/৪৫২২; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ,
মিশকাত হা/২৪৮৭, ‘দো‘আ সমূহ’
অধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯
অবশ্য শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের
পরে সালাম ফিরানোর
পূর্বে কুরআনী দো‘আ সহ সহীহ হাদীছ
ভিত্তিক সকল প্রকারের দো‘আ পাঠ
করা যাবে।

sheikh shahadat
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Md. Sabbir Ahmed
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
MD Shamim Khan
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?