এক বছর পেরিয়ে গেল। এখনো হলোনা বিচার। বিচারহীনতায় বেড়েই চলেছে ধর্ষন...
"কুনুহানে বিচার পাইচি না। বিচার না পাইয়া আমার কলিজার টুরহাডারে (মেয়ে) লইয়া, আমার সরল মানুষডা (স্বামী) আল্লাহর হেহানো বিচার দিত গেছে !"
২৯ এপ্রিল, শনিবার সকাল সোয়া ৯টা, গাজীপুরের শ্রীপুর স্টেশনের দক্ষিণ পাশে, তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু।
দেশের সকল শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ায় এটিকে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর খবর বলা হল, কিন্তু এটা যে ধর্ষনের বিচার না পেয়ে ক্ষোভে-লজ্জায় আত্মহত্যা, সেটা আমাদের এই শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া বলেনি ! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলের প্রতিক্রিয়ার পর নাকি তাদের ঘুম ভেঙেছে !
৮ বছরের একটা শিশুকে ধর্ষন করা হল । কেন? কারণ, তারা বিচার চেয়েছিল একদল ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে যারা নাকি তাদের একমাত্র বাঁচার সম্বল একটি গরুকে জবাই করে খেয়ে ফেলেছিল। আর সেই বিচার চাওয়ার শাস্তি দেয়া হল শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে !!
অবশেষে, বিচার না পেয়ে, আট বছরের ধর্ষিত শিশু কে সাথে নিয়ে একজন পিতাকে আত্মহত্যা করতে হল !
এই লজ্জা কাদের? স্বাধীন দেশের আমরা এখন পরাধীন নাগরিক ! ধিক্কার আমাদের এই সমাজ-বেবস্থার, ধিক্কার আমাদের এই বিচার-বেবস্থার ! আপনি চিৎকার করে কাঁদতে চেয়েও কাঁদতে পারবেন না, শুধু নিজেকে ধিক্কার দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আইন এখন বন্দি সুবিধা-বাদী আর ক্ষমতাবানদের বেড়াজালে। যার যায় সেই বোঝে বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা, আপনার কি বুঝবেন, আপনারাতো শুধু আনন্দ দেখাতেই মশগুল।

Md. Sabbir Ahmed
Deletar comentário
Deletar comentário ?
Tamim Hossain
Deletar comentário
Deletar comentário ?
MD Zahidul Islam
Deletar comentário
Deletar comentário ?
sakib sa
Deletar comentário
Deletar comentário ?