перевести   5 лет назад

#copy
কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। আমার পাশের সিটটি খালি। একটি মেয়ে এসে---
-ভাইয়া আমি কি আপনার পাশের সিটে জানালার কাছে বসতে পারি?
-হ্যাঁ বসুন।

বাস ছাড়ার কিছুক্ষন পর মেয়েটির দুষ্ট দুষ্ট আচড়ন শুরু হলো। চুল বাধা, লিপস্টিক দেয়ার নাম করে বারবার আমার সাথে ধাক্কা লাগার চেষ্টা। একটু পর ঘুমের ভাব করে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল। জানালা দিয়ে আসা বাতাসের তোড়ে মেয়েটির চুল এসে আমার মুখে বার বার দোল খাচ্ছিল। রোমান্টিক এক মুহুর্ত। আমি এদিক ওদিক তাকাই। লুকিয়ে কয়েকটা ছবি তুলি।

- ম্যাডাম কোথায় যাবেন? মেয়েটি আৎকে উঠে। ওড়না ঠিক করতে করতে বলে ঢাকা যাব। ভাইয়া আপনার বাড়ি কোথায়? কি করেন? আপনি অনেক স্মার্ট ইত্যাদি ইত্যাদি।

একটু পর কাধে আবার ঘুমিয়ে পরে। তবে এবারের কাধে পরাটা আগেরটার চেয়ে আরেকটু ঢলোঢলো। অনেকটা জড়িয়ে ধরার মতো। আমার শ্বাশুড়ির পেটের আপন বউ পর্যন্ত কখনো আমাকে ধরে এভাবে ঘুমায়নি। হেভী রোমান্টিক স্টোরি, তাইনা?

এরই মধ্যে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। আমার কথা শুনে ও বুঝে যায় যাত্রাবাড়ি আমার জন্য কেউ একজন অপেক্ষা করছে। মেয়েটির চেহারা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেলো। কাউকে ফোন দিয়ে বলল। বস ভ্যান গাড়ী একটা না। ভ্যান গাড়ী দুইটা। দুইটা কি সামলানো যাবে? আমি একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলাম, ”দুইটা ভ্যান গাড়ী” মানে কি? আর ভেনগাড়ি সামলায়ই বা কিভাবে?
তাহলে আমি আর যাত্রাবাড়ি থাকা আমার বন্ধু দুজনকে ভ্যান গাড়ি বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে। একসাথে ঘায়েল করা যাবে কিনা সেই কথাই বলছে। বুঝে গেলাম ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে যাচ্ছি। পরে যাত্রাবাড়ি আসার আগেই গাড়ি থেকে জান নিয়ে নেমে পড়লাম। কোন রকম উদ্ধার পেলাম।

মনে পড়ে গেল ”টিকাটুলির মোড়ে একটা সিনেমা হল রয়েছে” গানটির কথা। যারা গানটি শোনেননি শুনে নিবেন। আর যেখানে সেখানে যত্রতত্র প্রেমে হাবুডুবু খাবেন না। সেই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলাম। সাবধানে থাকুন। অচেনা লোকদের দেয়া খাবারতো নিবেনই না প্রেমও গ্রহন করবেন না।

ভ্যানগাড়ি বলায় আমার মন অনেক খারাপ। আরে বলবি যদি বিমান বল, পাইলট বল। এই যেমন, বস পাইলট কিন্তু দুইটা। বিমান ছিনতাই করা যাবে তো?

ঈদকে সামনে রেখে উনারা খুব তৎপর। অসাবধান হলেই কিন্তু ভ্যানগাড়ি হয়ে যেতে হবে।

(জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন।)

image
  • Мне нравится
  • Люблю
  • HaHa
  • WoW
  • Грустный
  • Сердитый