সমস্যাটা যোগ্যতার নাকি মানসিকতার...............?
কয়েকদিন আগে মোবাইলের চার্জিং পোর্ট নস্ট হয়েছিল। ঠিক করতে গেলাম ৩০০ টাকা চাইলো। মুলামুলির পর ২৫০ টাকায় রাজী হল। এরপর ১০ মিনিটও লাগেনি একটা লিকুইড দিয়ে কতক্ষন খোঁচাখুঁচি করে বলল- রেডি। এবং এখন পর্যন্ত দিব্যি চলছে। এর পরপরই আরেকজন আসলো একই সমস্যা নিয়ে তার বিল রাখলো ৭০০ টাকার মত। এবং দোকানে খদ্দের এর অভাব চোখে পড়লো না।
আজকে ফুটপাতের এক চাচার কাছে গেলাম প্যান্ট কাটাতে। দুটো প্যান্ট কাটাবো- বিল ১০০ টাকা। ঠিকমত কাজ করলে ১৫ মিনিটের বেশি লাগার কথা না। যাই হোক এরকম খদ্দের এর অভাব নেই চাচার কাছে, সিরিয়াল পাওয়ায় টাফ।
উপরোক্ত দুজনেরই বিনিয়োগ প্রায় শুন্যের কোঠায়। একজন ছোট্ট একটা দোকান শেয়ার করে তিনজন মিলে, ভাড়া খুব বেশি হওয়ার কথা নয়। আর আরেকজন তো ফুটপাতে বসে, ভাড়ার প্রশ্নই আসে না- ঠোল্লা আর পাতি নেতাদের খুশি করলেই হয়।
কিন্তু দুজনেরই পুঁজি হল কারিগরি দক্ষতা। আর এই কারিগরি দক্ষতার কারনেই যেখানে লাখ লাখ যুবক বেকারত্বের অভিশাপে মাথা কুটে মরছে, সেখানে হয়তো তারা দিব্যি ঢাকা শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে ২০ বছর ধরে পড়ালেখা করে বেকার হব নাকি মাত্র দু এক বছর প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাবলম্বী হব?
আমাদের একটি মৌলিক সমস্যা হল কারিগরি কাজকে ছোট করে দেখা। আমরা একটু পড়ালেখা করলেই ঐসব কাজকে তাচ্ছিল্য করা শুরু করি। আসলে কোন কাজই ছোট নয়। সব থেকে সম্মানজনক রুজি হল নিজের হাতের কামাই করা রুজি। তাই অন্যের হক নস্ট না করে এমন যেকোন কাজই সম্মানজনক। অন্তত বেকারত্ব, চুরি-বাটপারি বা ভিক্ষা করা থেকে।
সব থেকে বড় কথা হল- যোগ্যতা। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনাকে কাজ খুজতে হবে না, কাজই আপনাকে খুজে নিবে। শুধু যোগ্যতা প্রকাশের চেস্টা করুন। আপনার আশেপাশে এমন অনেক ক্ষেত্র আছে যা আপনার ও সমাজের উভয়েরই উপকারে আসবে মাঝখান থেকে আপনিও স্বাবলম্বী হবেন। চেস্টা করুন, ফল পাবেন- তবে অবশ্যই সততা সহকারে।

  • Like
  • Love
  • HaHa
  • WoW
  • Sad
  • Angry