এক-সময়-ছিলো স্কুল পালাতাম
তখন জীবনটা ছিলো স্কুলের গন্ডীর বাইরে
বন্ধুরা একসঙ্গে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতাম
ঘুড়ি উড়াতাম, আড্ডা দুষ্টুমি লাটিম-খেলা
সাতার কাটা আরো কত কি করতাম,
তখন জীবনটা ছিলো স্কুলের গন্ডীর বাইরে
হয়তো ওভাবেই বাঁচতে চেয়েছিলাম
এক-সময়-ছিলো খুব স্কুল পালাতাম।
এরপর অনেকদিন পর আজ আবার
গন্ডীর বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে
ইচ্ছে করছে জীবনটাকে নতুন করে দেখবার,
ইচ্ছে করছে ঘাস-ফড়িঙের পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে
আবার সেই কৈশোরে ফিরে যাবার,
ইচ্ছে করছে কামালের লাড্ডু আইসক্রিমে ঠোঁট রাঙিয়ে
পুরানো বেদীর সেই শিউলিতলায় গিয়ে বসবার
আবার সেই পুরোনো স্বাদে জীবন রাঙাবার।
জীবনটা তো আর স্কুল নয়,
ইচ্ছে হলেই পালিয়ে গেলাম,
এখানে সময় সদা কথা কয়
ইচ্ছে সকল ইচ্ছে হয়েই রয়।
একদিন অসুস্হ হব খুব
তারা ভরা আকাশের মত
বিছানো ক্লান্তির চাদর জানবে
আমি আসলেই হেরে যেতে চেয়েছিলাম
একদিন না বলব না আর হ্যাঁ ও না
সমস্ত আদর পিছলে যাবে নিজেরাই
যেভাবে বেহিসাবী দেওয়া নেওয়া
ভরে যায় ব্যর্থতায় আর ফিরে
যেতে যেতে মিশে যায় মা'র আঁচলে
চিরসত্যের ভ্রম নামে
একদিন তুমিও ফিরে যেও
গঙ্গাজল আর সাদাফুল নিয়ে
জেনো, যার বেঁচে থাকা মৃত্যুর সামিল
তাঁর মৃত্যুকে বেঁচে ওঠা বলে...
পৃথিবীর সুখ!
ভুল করেও ভুল ভাবেনা সে মরেছে জন্মের মরা!
কাকতালীয় দুঃখ বলে কিছু নাই
আমাদের মানব ইতিহাস
লোহার শিকলে বন্দি মানবতা নিয়ে ঘাটে,
ঐতিহাসিক অক্ষরের স্থাপত্যে আছে
কত রাজ্যের কত কলঙ্ক!
প্রাচীনতম প্রাচীরের গায়ে বহু বীরের পরাজয়ের গল্প!
পৃথিবীর সুখ
আর ভুল করেও ভুল ভাবেনা
ঋতুচক্রের দিনযাপনে
ঘামের প্রতি ফোঁটায় সাজানো ইতিহাস পার্থিব অলঙ্করণ!
আমাদের বাধ্য করে
পরিস্থিতির একটা দুর্বিষহ গল্প তৈরী করার...
এক একটা উপন্যাস লিখা যায়
এক একটা খুপরি ঘরের ইতিহাস টেনে!
প্রতি নিঃশ্বাসে একটা বিশাল পৃথিবীর সন্ধান মিলে
পৃথিবীর সুখ!
ভুল করেও ভুল ভাবেনা আর
যুদ্ধের ময়দানগুলো উপহাসের গান রচনা করে
আমাদের অলসতার জগত!
বীরের রক্ত মাটিতে মিশে আছে-
অথচ তা মাড়িয়ে চলে কতক আগ্রাসী মানুষদল.
শকুনির মত ছিঁড়ে খায় রমণীর স্বপ্ন
যুবকের বিবেক!!
ইতিহাস সেও ভাল আমাদের
উলটো পথের বর্বরতার স্মৃতি হাতড়ায়!!
পৃথিবীর সুখ!
ভুল করেও ভুল ভাবেনা আর!
সুখ জেনে গেছে তার বুকে
বিচরন করা সুখের রক্তাক্ত ছাপ
আর ঘুণধরা সমাজের পালাবদলের পিছনের ইতিহাস!
কবিতা