@Shahid
মাছের কাঁটা গলায় বিধলে সিলেটের শাব্বিরকে ফোন করলেই সমাধান
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়া আমাদের দৈনন্দিন ঘটনা। আপনার বা আপনার স্বজনদের করো গলায় মাছের কাঁটা(গছা) বা অন্য কিছু লেগে গেছে? দুশ্চিন্তার কারণ নেই, আল্লাহর রহমতে সমাধান পেয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন +৮৮০১৭১৬ ৮৭১৯৪২নাম্বারে। মো. শিব্বির আহমেদ (সিলেটি শিব্বির) ওসমানীনগর থানার ব্রাক্ষণ শাষণ গ্রামের তেরো মাইলের বাসিন্দা।
মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে গলায় আটকে যাওয়া কাঁটার সমাধান দিয়ে থাকেন। ঘটনাটি আশ্চর্যজনক হলে সত্য।
দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিরলসভাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। দেশ-বিদেশে সবার কাছে তার মোবাইল নাম্বার ছড়িয়ে পড়েছে ।
এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া কয়েকজন মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ফোনে আলাপ করার পর অনেকটা অলৌকিক ভাবে গলাত কাঁটা সেরে যায়!!
এ ব্যাপারে শিব্বির আহমদ প্রতিবেদক কে তিনি জানান- ২০০২ এর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মানুষের সেবা করে আসছি। এটি আল্লাহর রহমত, আমি উছিলা মাত্র। এখন প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ জন রোগির সেবা করে থাকি। কোনো টাকা পয়সা গ্রহণ করি না, কেউ দিলেও নেই না। আপনার কাজ হয়ে গেলে ফোন করে আমাকে কৃতার্থ করবেন।
Pneumonia = নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করনীয়
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শীতের শুরুতেই ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপের নাম : নিউমোনিয়া
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
=-প্রশ্ন: নিউমোনিয়া কি?
( Pneumonia)নিউমোনিয়া হচ্ছে ফুসফুসের এক প্রকার ইনফেকশন। সাধারনত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশুর জন্ম, ওজন কম হলে, অপুষ্টি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, টিকা সময়মত না নিলে অথবা অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শিশু সহজেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
=-প্রশ্নঃ নিউমোনিয়া রোগের উপসর্গ/লক্ষনঃ
১। শিশুর জ্বর, কাশি অথবা শ্বাসকষ্ট হলে
২। বয়স অনুযায়ী শ্বাস দ্রুত মনে হলে ।
৩। অস্থিরতা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৪। বুকে বা পেটে ব্যথা, শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদিও হতে পারে।
৫। শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় শিশুর নাক ফুলে উঠবে।
৬। মুখ ও ঠোঁটের চারপাশ নীল হয়ে যেতে পারে।
৭।কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসতে পারে। আবার শিশু অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
=-প্রশ্নঃ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা-
১। বুকের এক্সরে,
২।রক্তের সি বি সি পরীক্ষা,
৩।কফ বা শ্লেষ্মা পরীক্ষা
=-প্রশ্নঃ কিভাবে ছড়ায়-?
নিউমোনিয়া অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ।
১। এ রোগের জীবাণু রোগাক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
২। কোন সুস্থ শিশু আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কোন জিনিসের মাধ্যমে শিশুর শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
৩।এ রোগের জীবাণু সুস্থ মানুষের নাক ও মুখে থাকতে পারে যা শ্বাস গ্রহনের মাধ্যমে ফুসফুসে ছড়িয়ে এ রোগ হতে পারে।
৪। আবার কিছু ক্ষেত্রে জীবাণু রক্তের সাহায্যেও ফুসফুসে সংক্রমিত হতে পারে।
=-প্রশ্ন: কাদের বেশী হতে পারে?
১। ছোট্ট শিশু অথবা বয়স্ক ব্যক্তিরা এ রোগে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন।
২। আবার দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে এমন কোন রোগ যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের কোন রোগ, এইডস ইত্যাদি রোগ থাকলে।
৩।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সহজেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।
৪। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি নিলে, স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করলে
৫।যারা ধূমপান করেন কিংবা মাদকে আসক্ত তাদেরও হতে পারে।
=-প্রশ্নঃ নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করনীয়ঃ
১। বাড়ির সকলকে অবশ্যই দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
২। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে যাতে অপরিণত বা স্বল্প ওজনের শিশুর জন্ম না হয়।
কারন- অপরিণত বা স্বল্প ওজনের শিশুরা পরবর্তীতে খুব সহজেই নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
৩।শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
৪।দুছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। কারণ- অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে।
৫। শিশুকে সময়মত সরকারিভাবে প্রদত্ত সবগুলো টিকা দিতে হবে।
৬। কারও ঠাণ্ডা বা কাশি হলে অথবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।
৭। শিশুর থাকার জায়গা এবং বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
বাড়িতে আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৮।।শিশুকে সিগারেট বা চুলার ধোঁয়া থেকে দূরে রাখতে হবে
=-* প্রাপ্ত বয়স্কদের নিম্নলিখিত ব্যপারে সতর্ক হতে হবেঃ
১। ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
২।পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম করতে হবে।
৩। ধূমপান বা যেকোনো মাদক বর্জন করতে হবে।
৪। অন্যের সামনে হাঁচি বা কাশি দেয়ার ক্ষেত্রে, অবশ্যই হাত বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
=-প্রশ্নঃ নিউমোনিয়ার চিকিৎসাঃ
শিশুর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে চিকিৎসকরা চিকিৎসার ব্যপারে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
১। যদি শিশু মুখে খেতে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস কিছুটা স্বাভাবিক হয়, এরকম ক্ষেত্রে শিশুকে বাড়িতে রেখে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।
২।অপরদিকে মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
৩। চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে অক্সিজেন দিতে হতে পারে।
৪। শিরাপথে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের প্রয়োজনও হতে পারে।
৫। এ সময় শিশুর খাদ্য এবং পানীয় সম্পর্কে অত্যন্ত যত্নবান হতে হবে।
যেহেতু নিউমোনিয়াজনিত শিশু মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি, তাই যেকোনো প্রয়োজনে অবশ্যই দ্রুততার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
Md Roni Islam
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?